রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জীবন সংগ্রামি লাইলার কম মূল্যের সবজির দোকান শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ নেয়ার ভিডিও ভাইরাল মিয়ানমারে বিস্ফোরণে মুহুর্মুহু শব্দ, টেকনাফের বসত ঘরের আঙ্গিনায় এসে পড়েছে গুলি মাকে কুপিয়ে হত্যার পর থানা এসে হাজির যুবক টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার

‘আমাকে নিয়া যা’ বলে আকুতি করা বয়োবৃদ্ধা মাকে ‘অবশেষে নিয়েই গেলেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র শবে বরাতের রাত, রবিবার। কক্সবাজার সরকারি কলেজের সামনে রাস্তার পাশে হামাগুড়ি দিয়ে আকুতি করতে ছিলেন এক বয়োবৃদ্ধা মা। বারবার বলেছিলেন, ‘আমাকে নিয়া যা, আমাকে নিয়া যা..”। আশে পাশের লোকজন আকুতি শুনে দেখেন রোগাক্রান্ত ৮০ উর্ধ্ব এক মাকে। এসব লোকজন এই মাকে নিয়ে এনে রাত ১১-১২ টার দিকে ভর্তি করে দেন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে।

ঘটনার পর থেকে ছবি সহ ফেসবুকে ঘুর বেড়াচ্ছে একটি লেখা। যেখানে অসংখ্য জন লেখেছেন, “আফসোস! যে রাতে কেউ জান্নাত খুঁজে সে রাতে আবার কেউ জান্নাত ফেলে দেয়! হৃদয়টা ভেঙে যাওয়ার মত ঘটনা, যে রাতে সন্তান তার মা বাবার জন্য দোয়া করতেছে সে রাতে শবে বরাতের পবিত্র রাতে কক্সবাজার সরকারি কলেজের সামনে সিএনজিতে এনে বয়োবৃদ্ধা, রোগাক্রান্ত একজন মহিলাকে কে বা কারা ফেলে চলে যায়। একটু দূরত্বে থাকা কিছু মানুষ কান্নার শব্দ শুনে এসে দেখে বৃদ্ধা রোগ যন্ত্রণায় ছটফট করছে আর বারবার বলছে আমাকে নিয়ে যা আমাকে নিয়া যা। বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চতুর্থ তলায় চিকিৎসাধীন আছে। কোনো নাম, ঠিকানা বলতে পারছে না।”

এ বিষয়টি কক্সবাজার সরকারি কলেজ সংলগ্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম বাহাদুর জানান, রাতে তিনি নিজ বাড়ির পাশের মসজিদে ছিলেন। স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন একটি অটোরিকশা (সিএনজি) যোগে কে বা কারা অন্ধকারে রাস্তার পাশে এই বৃদ্ধাকে রেখে চলে যান। তখন ‘আমাকে নিয়া যা’ বলে আকুতি শুনে কিছু মানুষ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। নাম, পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার ভোরে এই মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান। তিনি জানান, হাসপাতালে আনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করা হয়। শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিলনা। চিকিৎসাকালিন সময় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য নাজমুল জানিয়েছেন, অজ্ঞাত পরিচয় বৃদ্ধার মরদেহ মর্গে রয়েছে। এখনও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সিআইডি সদস্যরা এসে আঙ্গুলের নিয়ে গেছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888